ইসকন মায়াপুরের নৃসিংহদেবের চিত্রপট একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার অবলম্বন, যা নৃসিংহদেবের মহান রূপ ও শক্তি প্রদর্শন করে। এই চিত্রপটে তাঁর আধ্যাত্মিক মহিমা এবং ভক্তদের প্রতি তাঁর করুণা প্রকাশ পায়।
চিত্রপটের বর্ণনা:
নৃসিংহদেবের রূপ: নৃসিংহদেব এই চিত্রপটে সিংহ ও মানুষের সংমিশ্রিত রূপে উপস্থিত। তাঁর বিশাল সিংহের মাথা, রেগে ওঠা মুখমণ্ডল এবং শক্তিশালী পেশীভিত্তিক শরীর এক ভয়ংকর রূপকে উপস্থাপন করে।
মুখমণ্ডল: তাঁর মুখে রোষের উত্তেজনা এবং চোখে তীব্র ক্রোধ স্পষ্ট। শক্তিশালী দন্ত এবং উন্মুক্ত নখর তাঁর অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং শক্তিশালী অবস্থাকে প্রতিফলিত করে।
হাতের অবস্থা: নৃসিংহদেবের বিশাল হাত দুটি তাঁর অনন্ত শক্তির প্রতীক। তিনি অসুর হিরণ্যকশিপু কে আটক করে রেখেছেন, এবং তাঁর শক্তিশালী নখর দিয়ে হিরণ্যকশিপুকে শেষ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
অলংকার ও পোশাক: নৃসিংহদেবের শরীরে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী অলংকার এবং সোনালী পোশাক থাকে, যা তাঁর রাজকীয় অবস্থান ও দৈব শক্তির প্রমাণ।
সিংহাসন ও পটভূমি: চিত্রপটটির পটভূমিতে একটি মহিমান্বিত সিংহাসন, আলো ও মঙ্গলের পরিবেশ প্রতিফলিত হয়।
ভক্ত প্রহ্লাদ: চিত্রপটে প্রহ্লাদ মহারাজ সাধারণত নৃসিংহদেবের সামনে নতজানু হয়ে থাকেন, যা তাঁর ভক্তির প্রতি নিবেদিত প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
আলোকসজ্জা: চিত্রপটে আলোর প্রচুর ব্যবহারে নৃসিংহদেবের মহিমাকে চিত্রিত করা হয়, যা তাঁকে মহাশক্তির অধিকারী এবং রক্ষাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে।
এই চিত্রপটটি ইসকন মায়াপুরে ভক্তদের মধ্যে নৃসিংহদেবের অমিত শক্তি, সাহস এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্রামের গল্প তুলে ধরে। এটি নৃসিংহদেবের প্রভাবশালী রূপ এবং তাঁর ভক্তদের প্রতি অসীম করুণার সাক্ষী।